লোড হচ্ছে...

সর্বশেষ

চর্ম রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ACID CHRYSOPHANIC (Acid Cryso) & ACIDUM URICUM (Acid Uric) ।

চর্ম রোগের বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ রয়েছে। রোগ নির্ণয় করে সঠিক ঔষধ ও সঠিক মাত্রা নির্বাচন করতে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ঔষধের নাম: ACID CHRYSOPHANIC (Acid Cryso) 

অপর নাম : গোয়া পাউডার, ক্রাইস্যারোবিনাম 

উৎস : খনিজ (ক্রাইসোফনিক এসিড) 

প্রভার : ক্লিনিক্যাল প্রুভিং 

কাতরতা : মধ্যম শীত কাতর মায়াযম : গভীর সোরিক, সাইকোটিক, সিফিলিটিক। 

প্রধান ক্রিয়াস্থান : 

চর্ম, চক্ষু, কর্ণ, পরিপাকতন্ত্র, লিভার 

রোগী ও রোগ পরিচয়: 

১. চর্মের উত্তেজক পদার্থ হিসেবে ইহার প্রধান ক্রিয়া দেখা যায়। 

২. বিভিন্ন চর্ম রোগে ইহার ব্যবহার আছে। 

★★৩. বিশেষ করে দাঁদ, একজিমা, সোরাইসিস, আঁচিল, হার্পিস, লাল বর্ণের ব্রন, আঁশযুক্ত ক্ষত ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঔষধটি খুবই ফলপ্রদ। 

৪. দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব ও মামড়ি পড়া চুলকানীতেও ভাল কাজ করে। 

★★৫. তীব্র চুলকানীতে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীন ভাবে ইহার যথেষ্ট ব্যবহার দেখা যায়। 

৬. চোখের পাতার প্রদাহ, কনজাঙ্কটিভাইটিস, কেরাটাইটিসে এই ঔষধটিতে উপকার হয়।

 ★★ ৭. চোখের তীব্র আলোকাতাঙ্কে ও চোখের স্পর্শ কাতরতায় ইহা একটি ভাল ঔষধ। 

৮. শিশুদের অধিক পরিমাণ পিত্ত বমিতে ঔষধটি কার্যকরী। 

পরবর্তী ঔষধ (পরিপূরক ও অণুপূরক) : ইউফ্রেসিয়া, ক্যামোমিলা, আইরিস ভার্স। 

ক্রিয়ানাশক: কষ্টিকাম, জিঙ্কাম মেট, ক্যাক্ষর ক্রিয়া 

স্থিতিকাল : ২০ দিন। 

শত্রুভাবাপন্ন নাই। 

রোগ বৃদ্ধি : রাতে, শয়নে, আলোতে 

রোগ হ্রাস : খোলা বাতাসে, কফি পানে, অন্ধকারে ঔষধ শক্তি (ক্রম): ৩য় থেকে ৬ষ্ঠ শক্তি।

ACIDUM URICUM (Acid Uric) 

অপর নাম : লিথিক এসিড  

উৎস : খনিজ প্রভাব 

প্রুভার: জানা নেই 

কাতরতা : উভয় কাতর

মায়াযম : সোরিক

প্রধান ক্রিয়াস্থান : ফ্যাটি টিউমার, গেঁটেবাত, চর্ম (একজিমা)

রোগী ও রোগ পরিচয়ঃ

★★১. যাদের রক্তে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায় তাদের জন্য ভাল ঔষধ।

★★২. গেঁটে বাতের শ্রেষ্ঠ ঔষধ।

৩. চর্মে একজিমা বা কাউর ঘাঁয়ের অন্যতম ঔষধ।

★★*৪. মেদাবুদ বা লাইপোমার উপযোগী ঔষধ।

৫. প্রস্রাব থেকে ঝাঁঝালো গন্ধ হয়।

৬. আক্রান্ত স্থান ফোলে ও ব্যথা হয়।

৭. নড়াচড়ায় রোগের বৃদ্ধি।

পরবর্তী ঔষধ

(পরিপূরক ও অণুপূরক) : লাইকো, ক্যান্থারিস, কর্টিসন, এপিস মেল, কলচিকাম, এসিড বেঞ্জ।

ক্রিয়ানাশক : নাই।

ক্রিয়া স্থিতিকাল : ১০ থেকে ২০ দিন।

শত্রুভাবাপন্ন : নাই।

রোগ বৃদ্ধি : খোলা বাতাসে, নড়াচড়ায়, ঠান্ডায়, আবহাওয়া পরিবর্তনে।

রোগ হ্রাস : উত্তাপে, প্রচুর মূত্র নিঃসরণে, চুপ থাকলে।

ঔষধ শক্তি (ক্রম) : মধ্যম থেকে উচ্চ শক্তি।


Post a Comment

Previous Post Next Post