পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য নিজেকে একজন ভালো ছাত্র বা ছাত্রী তৈরি করতে হবে। ভাল ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো।
ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষার্থীরা সাধারণত চারিত্রিক, মানসিক ও একাডেমিক—সব ক্ষেত্রেই চর্তুমুখী গুণের অধিকারী হয়ে থাকে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যারা ভাল রেজাল্ট করে তারা সকলেই অধ্যবসায়ী, আত্মবিশ্বাসী, পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল।
অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাস ছাড়া কেউ কখনও জীবনে উন্নতি করতে পারে না। অধ্যবসায় হলো—কোন কাজে ব্যর্থ হলে সে কাজে সফলতা অর্জনের জন্য ধৈর্য এবং সাধনার সাথে বার বার চেষ্টা করে যাওয়া।
যে শিক্ষার্থীর ভেতরে “আমি পারবো, আমি A+ পাবো” এই আত্মবিশ্বাস থাকে, তার সফলতা নিশ্চিত। যার আত্মবিশ্বাস নেই, তার ভেতর হতাশা, দ্বিধা ও ব্যর্থতার ভয় সবসময় কাজ করে।
নিউটন বলেছেন— “আমার আবিষ্কারের কারণ আমার প্রতিভা নয়; বহু বছরের পরিশ্রম, নিরবচ্ছিন্ন চিন্তা ও ধৈর্যের ফল।”
ভলটেয়ার বলেছেন— “প্রতিভা বলে কিছু নেই; পরিশ্রম কর, সাধনা কর—তাহলেই প্রতিভাকে অর্জন করতে পারবে।”
ভালটনও বলেছিলেন— “পরিশ্রম ছাড়া আমি কিছু জানি না। সহিষ্ণু সাধনার সামনে কিছুই অসম্ভব নয়।”
ইয়ং বলেছিলেন— “মানুষ যা ইচ্ছা করে তাই হতে পারে।”
ভাল ছাত্র-ছাত্রী হতে হলে
সুতরাং ভাল ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার জন্য অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম ও ধৈর্যের বিকল্প নেই।
ভাল ছাত্র-ছাত্রীদের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য
- নিয়মিত মনোযোগ সহকারে বুঝে পড়ে ও লিখে।
- নিয়মিত প্রশ্নোত্তর নোট করে।
- লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আগ্রহ ও কৌতূহল নিয়ে পড়ে।
- শিক্ষক ও সিনিয়র ভাল ছাত্রদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখে।
- অমনোযোগী ও দুর্বল চরিত্রের সহপাঠীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখে।
- নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে ও পাঠ মনোযোগসহকারে শোনে।
- শারীরিক অসুস্থতাকে উপেক্ষা করেও যতটুকু সম্ভব পড়ালেখা চালিয়ে যায়।
- হতাশা, দ্বিধা-সংকোচ দূর করে এক নাগাড়ে পড়ালেখা চালিয়ে যায়।
- পরিবারের আর্থিক সমস্যা, উপকরণের অভাব এগুলোকে অজুহাত বানায় না।
- কখনও প্রেমজনিত সমস্যায় জড়িয়ে পড়েনা; কারণ এটি জীবনের বড় প্রতিবন্ধকতা।
সুতরাং: যে শিক্ষার্থী নিজেকে গড়ে তুলতে চায়, তাকে অবশ্যই অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম, ধৈর্য ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে হবে।
Post a Comment