সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের বার্ষিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের সাজেশন দেওয়া হলো। কিছু প্রশ্নের উত্তর সংক্ষিপ্ত আকারে নিচে উপস্থাপন করা হলো। প্রিয় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, তোমরা পরীক্ষায় ছোট প্রশ্ন আসলে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখবে আর ৩ বা ৪ নম্বরের জন্য প্রশ্ন আসলে বড় করে নিজেদের মতো করে বইয়ের আলোকে লিখবে।
বার্ষিক পরীক্ষার জন্য সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সাজেশন
অষ্টম অধ্যায়: সামাজিক সমস্যা
১. বাল্যবিবাহ কি? বাল্যবিবাহের কারণ ও ক্ষতিকর প্রভাবগুলি লিখ।
২. বাল্যবিবাহ রোধ করার উপায় গুলো বর্ণনা কর।
৩. শিশু কাকে বলে? কয়েকটি সামাজিক সমস্যার নাম লিখ।
৪. যৌতুক প্রথা কি? কিভাবে যৌতুক প্রথা সৃষ্টি হয়েছে?
৫. যৌতুকের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি? সমাজ থেকে যৌতুক প্রথা দূর করতে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
৬. বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ ও যৌতুক গ্রহণে কি কি শাস্তি রয়েছে? বর্ণনা দাও।
নবম অধ্যায়:
১.প্রবীন কারা? প্রবীনদের কেন সম্মান করা উচিত?
উত্তর: আমাদের দেশে সাধারনত ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষকে প্রবীন গুলে গণ্য করা হয়।
প্রবীনদের সম্মান করা উচিত। আমাদের দেশে একসময় পরিবারগুলো ছিল একান্নবর্তী। সে সময় পরিবারে প্রবীনদের কর্তৃত্ব বা ভূমিকা ছিল। তারা একসময় আমাদের সংসার চালাতে সাহায্য করে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তারা এখন কাজ করতে পারে না, তাই তারা অবহেলিত হয়। কিন্তু তারাও কোনো না কোনো ভাবে সমাজের কাজে আসে তারাও মানবসম্পদ। তাই তাদের সম্মান করা উচিত। তাহলে তারা নিজেদের একাকিত্ব বোব করবে না। তারা সমাজের বয়জেষ্ঠো লোক। বিভিন্ন পরিচর্যা মূলক কাজে তার সমাজের কাজে আসে। পরিবার ও সমাজে তাদের মূল্য দেওয়া হয় না, এতে তাদের মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটা যাতে না হয় তাদের সম্মান, শ্রদ্ধা, গুরুত্ব দিতে হবে।
(২) প্রবীনদের পরিচর্যা সংশ্লিষ্ট অধিকারগুলো লিখ।
উত্তর: আমার পরিবার বা আত্মীয়া স্বজনদের মধ্যে প্রবীনদের পরিচর্যা সংশ্লিষ্ট অধিকার গুলো হলো-
নিজেদের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির অধিকার।
শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক, চিত্তবিনোদন এবং সম্পত্তি ভোগের অধিকার।
শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হতে মুক্ত থেকে সুন্দর পরিবেশে বসবাসের অধিকার।
বয়স লিঙ্গ, ধর্ম ও জাতিগত সংস্কৃতি অথবা মর্যাদা নির্বিশেষে সুন্দর আচরণ পাওয়ার অধিকার ইত্যাদি।
৩. প্রবীণদের সমস্যাগুলো কি কি?
পারিবারিক:
আমাদের দেশে এক সময় পরিবারগুলো ছিল একান্নবর্তী, সেসময় পরিবারে প্রবীণদের এক ধরনের কর্তৃত্ব ছিল। কিন্তু শিল্পায়ন, নগরায়ন ও মানুষের অর্থনৈতিক জীবনধারার পরিবর্তনের ফলে একান্নবর্তী
পরিবার গুলো ভেঙে গিয়ে ছোট ছোট পরিবারে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান প্রবীণরা পরিবারেবোঝা হচ্ছে। কত সময় ছোট শিশুদের 'দায়িত্ব তাদের উপর গিয়ে পড়ো
অর্থনৈতিক:
নিজস্ব আয় রোজগার না থাকার এবং সঞ্চয় করা সম্পদ বণ্টন হয়ে যায় বলে প্রবীণরা অধিকাংশই অর্থনৈতিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন।
শারীরিক:
প্রবীণ বয়সে মানুষের শারীরিক শক্তি কমে আসে। নানা রোগব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধে। প্রবীণ বয়সে তারা একটুখানি আরামের সুযোগ পায় না।
৪. তোমার দেখা একজন প্রবীণ ব্যক্তি সম্পর্কে লিখ।
আমার দেখা একজন প্রবীণ ব্যাক্তির নাম রতন দাদা। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু প্রবীণ বয়সে তার শারীরিক শক্তিকমে আমার ফলে কোনো আয় রোজগার হয় না এবং তার সাথে গল্প করার মতো কেউ নেই বললেই চলে। তিনি নিজেকে খুব অসহায় মনে করেন। অতএব তিনি প্রবীণ সমস্যায় ভুগছেন।
৫. বাংলাদেশ প্রবীনদের কল্যাণের কার্যক্রম গুলো চিহ্নিত কর।
বাংলাদেশের প্রবীণদের কল্যাণের কার্যক্রমগুলো চিহ্নিত করা হলোঃ
প্রবীণরা একটি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাদের জন্য সমাজে ভালো একটা সিদ্ধান্ত হয়। তাই প্রবীণর প্রবীণদের কল্যাণে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করতে হবে।
১) গুল্পগুজব: প্রবীণদের মাথায় মানসিক চাপের কথা চিন্তা করে তাদের সাথে যথপোযুক্ত সময় গল্পগুজব করতে হবে।
(২) সাথে থাকা: প্রবীণরা যাতে নিজেকে অসহায় মনে না করে এজন্য তাদের সাথে সবসমর থাকা।
(৩) শেয়ারিং: প্রবীণদের সাথে সবসময় সবকিছু শেয়ারিং করা ভালো। এতে তাদের মন ভালো হয়ে যায়।
সাহায্যের হাত বাড়ানো: প্রবীণদের সমস্যা হলে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
গান শোনা: মাঝে মাঝে তাদের গান শোনানো ভালো।
এই কাজগুলো দ্বারা প্রবীণদের কল্যান সাধন করা সম্ভব।
৬. সমাজে নারীদের ভূমিকা উল্লেখ কর।
উত্তর: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হলো নারী। যদি নারীরা দেশের উন্নতিতে পিছিয়ে থাকে, তাহলে দেশের উন্নতি ঘটবে না। তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে তারা দেশের উন্নতি করতে পারবে না। নারী জাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া নারী ও পুরুষকে একটি গাড়ির দুইটি চাকার সাথে তুলনা করেছেন। একটি গাড়ি চলতে গেলে যেমন একটি চাকা ছোট অথবা বড় হলে যেমন গাড়ি চলে না, তেমনি একটি দেশের উন্নতির লক্ষ্যে যদি নারী ও পুরুষের বৈষম্য করা যাবে না। তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতিতে নারী পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা সমান, নারীরা শুধু সংসারের মা, বোন, দাদি, চাচি, নানি ইত্যাদি হতে পারে না। তারা একটি সংসার চালনার ক্ষেত্রেও বিশেষভূমিকা রাখে। সংসারের সকল সদস্যদের যত্ন ম্ন ইত্যাদি নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীই ভূমিকা পালন করে। কখনো কখ কোনো কোনো পরিবারে নারী- পুরুষের সাথে কাজ করে সংসারের আয়ের উৎস বাড়িয়ে তোলে। নারীর হাতেই সভ্যতার সৃষ্টি হয়।
৭. নারীদের অধিকারগুলি লিখ।
৮. নারী নির্যাতনের শাস্তি গুলো কি কি ?
দশম অধ্যায়
- ভারত সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।
- বহুজাতি দেশ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
- জাপানের জলবায়ু কেমন? বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
- জাপানের জাতিগত ধর্ম কী? জাপানকে 'সূর্যোদয়ের দেশ' বলা হয় কেন?
- চীন সম্পর্কে ধারনা দাও।
Post a Comment